ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের ১০টি প্রদেশে চলছে উদ্ধার অভিযান। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে দেশটিতে। তুরস্কের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে এসব টিম।
কিন্তু দেশটির দুর্গম ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে যোগাযোগ বিভ্রাট হচ্ছে। এ অবস্থায় তুর্কি কর্তৃপক্ষ ওই সব এলাকায় ড্রোন মোতায়েন করেছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী দলগুলো ব্যাপক দুর্যোগ ও প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে অবিরাম কাজ করছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রধান ইসমাইল ডেমির বলেছেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ প্রদানের জন্য ড্রোন মোতায়েন এবং এজন্য প্রথমবারের মতো দেশীয়ভাবে তৈরি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, কাহরামানমারাস প্রদেশসহ দেশটিতে সোমবারের ভূমিকম্পে ১৩ হাজারের মতো নিহত এবং কমপক্ষে ৬৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ হাজার মানুষকে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে ঠিক কত লোক আটকা পড়েছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। স্বাভাবিক কারণেই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িতরা।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কে তিন মাসের শোক ঘোষণা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এর আগে প্রাথমিকভাবে এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া দেশটিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।